এই ব্লগটি সন্ধান করুন

শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২

নৃবিজ্ঞান

 ”জন্মই আমার আজন্ম পাপ”

সামাজিক বিজ্ঞানের ইতিহাস: আলোকায়ন হতে শুরু

সেটা যদি ধরেই নেয়া যায় ১৬৫০ সাল। রেনে দেকার্তের মৃত্যু ১৬৫০ সালে। সময়টা দেখুন- ডিসকোর্স অন মেথোড। ল্যাটিন এবং ফ্র্যান্স ভাষায় অনুদিত হয় ১৬৩৭ সালে [ সেখানে বিখ্যাত  কোজিটিও ইরজা সাম পাওয়া যায়;] পশ্চিমা দর্শনের চিন্তা শুরু মূলতঃ আমি থেকে। 

জন লক যাকে বলা হচ্ছে লিবারেলিজমের জনক। ভলতেয়ার, রুশো বিখ্যাত স্কটিশ আলোকায়নের [ হিউম, লক]  তাদের জন্ম। এবং লকের বিখ্যাত তত্ত্ব ১৬৩২ সালে থিয়োরি অফ মাইন্ড যেটা পশ্চিমের সামাজিক বিজ্ঞানের বহুল আলোচিত ‘আইডেন্টি এবং সেল্ফ‘ এর জন্ম দেয়। দেকার্তের যুক্তিবাদ এর চাইতে তাদের ( হিউম, লক,রুশো) এরা বলতেন ‘তাবুলা রুশো‘-মন হচ্ছে সাদা স্লেট। জ্ঞান যেখানে কেবলই অভিজ্ঞতা- সন্সে অফ পারসেপশন এর মাধ্যমে অর্জন করা যায়। [Ref-1: Baird and water (2000)] এবং অতীব আলোচিত বিখ্যাত এ্যাম্পিরিক্যাল দার্শনিক হিউম এর প্রত্যাশাবাদ এবং জনলকের ‘রিলিজিয়াস ইউনিফরমিটি‘ তত্ত্ব সামাজিক বিজ্ঞানের জন্ম ও বেড়ে উঠাকে সাহায্য করে।আমরা সকলেই জানি ১৭৭০ সালে জেমস কুক-অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ঘোষণা করে ‘No body’s land’ । এই বিখ্যাত ধারণাটি জনলকের অধিক্ষেত্র। এবং এ জন্যই আমরা বলছি সামাজিক বিজ্ঞানের ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ [ Bardslay and Kneierrion 2020]

দার্শনিকভাবে সামাজিক বিজ্ঞানের ভিত্তি আরো একটু ব্যাখ্যা করা দরকার- এবং তা বুঝার জন্য অগাস্ট কোৎ----

র‍্যাশনালিজম                                                                  ইম্পিরিসিজম

 

আগের যুগ

সময় 

 

 

পিথাগোরাস 

570–495 BCE

ভারতীয় বৈদিক স্কুল[i]

৬০০-২০০ বি, সি,

প্লেটো 

427–347 BCE

স্টয়িক 

৩৩০ বি, সি

এ্যারিস্টটল 

384–322 BCE

 

 

মধ্যযুগ

 

 

জুদা হালেভি (ইহুদী

১১৪০

সাদিয়া গাও

৮৮২-০৪২

আল গাযালি মুসলিম 

১০০৫-১১১১

আল ফারাবি 

৮৭২-৯৫০

আলকিন্দি[ii]

৮৭০-৯১০

ইবনেসিনা

৯৮০-১০৩৭

মুতাজিলি বা র‍্যাশনালিস্ট  বিজ্ঞানী ও দার্শনিক আল-জাহিজ

৭৭৬-৮৬৯[iii]

ইবন থাইফুল[iv]

১১০৫-১১৮৫

 

 

বন রুশদ

১১২৬-১১৯৮

 

 

মাইমুন্দাস

1138–1204

 

 

থমাস একুইনো[v]

১২০০ 

পশ্চিমা  সময়

রেনে দেকার্তে

১৫৯৬-১৬৫০

ফ্রান্সিস বেকন

১৫৬১-১৬২৬

ব্রুস স্পিনোজা

১৬৩২-১৬৭৭

জন লক

১৬৩২-১৭০৪

মানুয়েল কান্ট

১৭২৪-১৮০৪

থমাস হবস[vi]

 

 রেনে দেকার্ত থেকে স্পিনোজা,ইমানুয়েল কান্ট, জর্জ হেগেল তাদের থেকে আরাম কেদারার নৃবিজ্ঞানের জন্ম। 

জাহিদ সিরাজ 

পি এইচ ডি 

গবেষক  ইউ এম 



[i] Oliver Leaman, Key Concepts in Eastern Philosophy. Routledge, ISBN 978-0415173629, 1999, page 269; Ganeri, J. (2012). The self: Naturalism, consciousness, and the first-person stance. Oxford University Press.

[ii][ii] Abboud, T. (2006). Al Kindi: The Father of Arab Philosophy. The Rosen Publishing Group, Inc.

[iii] Zirkle, C. (1941). Natural Selection before the" Origin of Species". Proceedings of the American Philosophical Society, 71-123; Akyüz, Z. C., & Correia, R. A. (2017). A bibliometric analysis of high impact research in the middle east using champion works. International Information & Library Review49(1), 11-18. অখনাএ আস্ত টেক্সট নাই। পেজ ২০৬ এর ২৯ নম্বর নোট টা দেখতেপারেন। আর পুরা টেক্সট এই লিঙ্কে আছে;  http://azeri.org/Azeri/az_latin/manuscripts/tusi/english/92_tusi.html [Accessed 03/04/2020]

[iv] সামার আত্তারের বইটা অনেক কাজে আসবে, পড়লে পুব আর পশ্চিমের কিছু লিঙ্ক পাবেন, Attar, S. (2007). The vital roots of European enlightenment: Ibn Tufayl's influence on modern Western thought. Lexington books. 

[v] Bennington, D. R. (2021). The Christian Philosophical Worldview of St. Thomas Aquinas. The Good, the True, the Beautiful: A Multidisciplinary Tribute to Dr. David K. Naugle, 159.

[vi] Javidi, M. (2020). A Methodological Look to The Social Contract Theory of Thomas Hobbes. Public Law Studies Quarterly50(Summer), 685-709.

Training Scenarios in Bangladesh .

 Behind the curtain: Where Training Goes?

 

To meet the 21st century’s global challenges, there is no alternative pathway to disseminate knowledge. For that reason, Bangladesh Government emphasized knowledge-gathering, in consequence, that reason civil servants are sent to foreign institutes in the USA, UK, Australia, Hong Kong, and etc to participate in the training to escalate the civil servants' skills, and manage for everything effectively. Managing the administration smoothly and efficiently, there is no alternative way of training. Because, our universities are producing only fresh graduates, they did not have hands oriented education. So, completing the formal education, training mold a graduate to cope with the upcoming adversity with ensuring the quality tasks. By imparting a training program, Trainees and trainers share their experiences to find out the best policy. But if the foreign training goes under rigorous that is the worst training on the eye of our participants at home and abroad, on the other hand, keeping more tours, sightseeing but no room based activity that is deeming the best-organized training. However, the public money how is way wasting by naming the training, if you keep your eyes on contemporary different dailies in Bangladesh. You will observe the training for civil servants is confined to foreign tour as the honeymoon period. A report says a team is going to see honey production and marketing. They will head to Europe for that purpose. Earlier, we had noticed such as like to see how to dig a pond, how to pass air from the air condition machine. A Part from these, training quality falls when we observe most of the cases, some personnel are nominated for foreign training when they are about to retirement or PRL, personally liking or disliking. The government is investing the money for better treatment to the public but the nation is getting back almost zero. In this regard, we can remember the public administration training policy 2003 (PATP-2003). It mentioned who, how and when will take or send to foreign training programs. But the authority always seeks personal liking or disliking forgoing the opportunity of avoiding the fore interests. In Bangladesh training by a public fund, we consider it an opportunity. Because, in foreign training, a trainee gets a lump sum honorarium for family members shopping, and it works as a blatantly nuptial tour, not learning point. Two jokes work in training programs one is the right person is not the right training. Another one is if the right person comes back to pavilion with desiring to imply the training knowledge in the taught field but the authority tainted the trainee’s preferred. The sending authority did not show interest to do this, As a result, money and desire or knowledge both go to taint. For example, One civil servant did Ph.D. in Public-Private Partnership from a foreign university, but obtaining the degree the officer got posting in irrelevant office in terms of education. Over time, the civil servants got disappointed. Another case who is a senior officer frequently thinks to leave the job, due to underutilize the receiving training which was taken from western countries. What are the solutions? Where training goes it is question is coming to mind vividly?

Finally, we can think to uphold the quality of training for the better management and service to people, considering the all, we have enough money but is there goodwill enough to imply in all milieu.  

বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২

ঘসেটি বেগমের একটি গর্ভপাত

না!এটার পতন ঘটাতেই হবে। ঘটনার আকস্মিকতায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় তারা দুজনেই। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বিশ্বাস আর রাখা যাচ্ছে না।তবে উত্তেজনায় বিস্ফোরণ ঘটেনি তো?  হয়তো?  আবেগের গতি বিজ্ঞানের বেগ সামলাতে পারেনি বলে ছিন্ন-ভিন্ন হতে যাচ্ছে আজ আমাদের মান মর্যাদা। দাদা চুপচাপ; কি করবে বলে নয় বরং ভাবছে অন্য কথা।কিন্তু ঘসেটি বেগম অভ্যাসবশতঃ কথা বলেই চলেছে।  আপনি কম দামের জিনিশ কিনেন ;কোন দোকান থেকে কেনা হয়েছিল, মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল কিনা? না, দাদা বিরক্ত  এতে হচ্ছেনা আবার উত্তর দেয়ারও চেষ্টা করছে না। দেশ, পাত্র , কাল ভেদে ঘসেটি বেগমের জ্ঞানের উচ্চতা গণ বিনোদনের উপায়ও বটে।তাই দাদা বিনোদিত হচ্ছে কিংবা হবার চেষ্টা করছে বটে! 

সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উর্দ্ধমূখী আর সম্প্রসারিত পেটের কথাটির কথাটি মনে হলে দাদা, হো হো করে হেসে উঠে। পাশে বসে থাকা ডক্টরেট করা সহকর্মীটি আগুনটি যে জ্বলেছে সেটা বুঝে নিল। পাবলিক বাসে প্রাইভেট কথা বলায় ইঙ্গিতে ডক্টরেট জানতে চাইল – ”ধোঁয়ার চেয়ে আধার ভালো।”  তাই ছেড়ে দেন। ওটা আপনার, আপনি নিশ্চিত হলেন কি করে?  এ রুম;  ও রুম, তারপর স্বামী তো আছেই। দাদার পছন্দ হলো কথাটি। স্বামীর বলে চালাতেই সমস্যা কোথায়?  কিছুদিন আগে অফিসে এরকম ঘটনা ঘটেছে। যদিও স্বামী পরিত্যক্তা ছিল আর ছেলেটি বর্জনীয় দোষে দুষ্টু।  কিন্তু আমাদের দুজনেরই তো সামাজিক রক্ষাকবচ আছে – এটা মনে করে একধরনের সুখানুভূতিতে ভাসতে লাগল দাদা। সম্বিৎ ফিরে পেল ঘসেটি বেগমের ফোনে।মৃদু চাপ অনুভব করল হাতে , ডক্টরটির হাতের, তা আর বুঝতে বাকী রইল না এবং কি বুঝাতে চায় তাও দুবোর্ধ্য নয়। হ্যালো বলতেই ওপার হতে বলে উঠল- আর চাপ নিতে হবে না।  সবকিছু ম্যানেজ করা হয়েছে।কেবল পাশে চাই তোমাকে ওই দিন, যেদিন --------- পতন ঘটাতে হবে। না, দাদা  অবাক হয়নি। আবেগ কিংবা আবেশে থাকলে নাতনি আমার, তুমি বলে সম্বোধন করে উঠে। বিষয়টিকে একেবারে উপভোগ্যহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বরং শিরায় একধরনের শিহরণ কাজ করে বটে। 

আজ শনিবার। অফিস বন্ধ। ইতিমধ্যে মোবাইলে ফোন এসেছে কয়েকবার। ক্লিনিকে যেতে হবে। ঘসেটি বেগম অফিস থেকে ছুটি নিয়েছে আর বাসায় বলেছে ভিন্ন কথা যা স্বভাবের দোষে হয়ে গেছে  সে টেরই পায়নি। মীন যেমন সলিলের উপস্থিতি টের পায় না। তাই তিন দিনের অফিস ট্যুরের কথা বলে বাসা হতে বেরিয়েছে সে। ফলে এতো তাড়া। সহকর্মী ডক্টরেটটিও ফোন করেছে বার কয়েক।  তাই বাসা হতে হন্ত দন্ত হয়ে ছুটতে হলো ক্লিনিকে। পতন ঘটানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে হবে ; এ টেবিল হতে ওই টেবিল। অবশেষে অপারেশন টেবিলে। না । উদ্বেগ নয় বরং উচুঁ দাত দুটো কেলিয়ে হাসছে। আমি কি শোনাবো সান্ত্বনার বাণী তার বদলে সে আমাকেই হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় করছে উদ্বেলিত।  

ঘষেটি বেগম এখন অপারেশন টেবিলে। শীতের সকালে পায়াচারী করছে। নার্সটি পাশের কক্ষে বসার তাড়া দিয়ে গেলো কয়েকে বার। কিন্তু ভাবনার জগতে কতকিছুই তো আসছে মনে। আমরা পুরুষরা বিশুদ্ধতার কথা বলি কেবল নারীদের জন্যই । এক নারীর জন্য কত রকম উপায় আবিষ্কার  করছে পুনরুৎপাদন বন্ধ করার করার জন্য। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে কয়টা ? ফসলটি কি আমারই নাকি  অন্যকারো----- এমন সময় নার্সের ডাকে সম্বিৎ ফিরে পেলাম। নার্সটি বলছে – আপনার মতো স্বামী পাওয়া বড়ই ভাগ্যের ব্যাপার । অর্ধাঙ্গীনির জন্য এতো ব্যাকুলতা। অর্ধাঙ্গীনি না, সেতো কুলাঙ্গীনি  আর – আমার এমন অস্ফুটস্বরে নার্সটি – ”ভাই কিছু বললেন ?”  না, তেমন নয় – আমি বলে উঠলাম। আর কতোক্ষণ লাগবে?  সে দৃঢ় চিত্তে বলে উঠল- আরো ঘন্টা দুয়েক লাগবে। ও!  আমি  ওটি রুমের সামনে হতে চলে আসলাম। আমি শান্ত আর ধীর । নিচে নেমে সিগারেট ধরালাম। কুণ্ডলীকৃত ধোঁয়ার ন্যায় আমার চিন্তাগুলোর আলু–থালু অবস্থা। ঠিক যেন রাবনের মৃত্যুর পর মন্দোদরীর দশা। হায়রে মন্দোদরী,স্বামী অন্তঃপ্রান। এমন সময় আমার অর্ধাঙ্গীনির ফোনে মনটা আরো ছন্দময় হয়ে উঠল। কি সব জঙ্গলের পিছনে ঘুরছি, মিথ্যাময় ছলনায় সময় কাটাচ্ছি। আর না ।ওপার হতে জানতে চাইলে, বললাম দুই  থেকে তিন দিন বাসায় ফিরবো না । বউ জানে অফিসেই থাকবো, দাপ্তরিক ব্যস্ততায় যা হয়ে থাকে। কিন্তু আসলেই কি তাই? যা আমার মন জানে আর জানেন অন্তর্যামি।  

(কৈফিয়ৎ: কাল্পনিক গল্প ,চারিত্রিক সাদৃশ্যতা অনভিপ্রেত)

একটি অসম্পূর্ণ সম্পর্কের সফল সমাপ্তি


                                    


কাল বেলা ব্যাংক ভবনের তিনতলার চায়ের দোকানে বসে ডান হাতে প্রাগতৈহাসিক যুগের কাপে এক কাপ চা  বাম হাতে একটা বেনসন বলতে সাদা বেনসন,যাকে পুজিঁবাদী দুনিয়ার বেনিয়া গোষ্ঠী নামকরন করেছে 'ব্লু গোল্ডহিসেবে।অথচ  পণ্যটির পোষাকি নাম হচ্ছে বেনসন লাইট,যা ধরানো নিয়মিত অভ্যাস  দাঁড়িয়েছে।আজকেও এর ব্যত্যয় হয়নি। মাঘের মিষ্টি রৌদ্রে মুখোমুখি ডক্টরেট ডিগ্রিধারি সহকর্মীটির সাথে যখন সমকালিন রাজনীতির কথা বলছিলামকরছিলাম উন্নয়ন আর গণতন্ত্রের ব্যবচ্ছেদ;পাশে আরএক আগন্তুকের তখন হৃদয়ের শবচ্ছেদে মুখাগ্নি হচ্ছিল বুঝতেই পারিনি। ভবনে ব্যাংকক্লিনিক আর পোস্ট অফিস হেতুপ্রশিক্ষণার্থীকর্মকর্তার পাশাপাশি আমজনতাও আসে সবকিছুতেই ভাগাভাগি করতে।তাইআগন্তুকের দাদা সম্বোধনে খানিকটাঅবাক হলাম। আমরা এখানে স্যার সম্বোধনের কালচারের ক্যারিকেচারে অভ্যস্ত।বামে-ডানে,উপরে -নিচে স্যার হয় বলো না হয় শুনো। জ্বী , স্যার,হুম স্যার,করছি স্যারদিচ্ছি স্যার হয় বাঁশ নয় আকাশ (এতো তেল যা মধ্যপ্রাচেও হয়না)এমন পরিবেশ আরপরিস্থিতিতে বিস্মিত হওয়ারই কথা। ডক্টরেটটি সিরাজুম মুস্তাকিন নামক ধর্মানুসারি হওয়ায় তার দৃষ্টি আমার দিকেআর আমার দৃ্ষ্টিআগন্তুকের দিকে। বলতেই হলো অভ্যাস বশঃত –জ্বী দাদা বলেন।

-দাদা আপনাকে আমি চিনি। আপনি কি আমার জীবনের গল্পটা শুনবেনসে বলে উঠল।

-দাদা,না শোনার কোন কারণ নেই। কারন এখানে ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ হয়।নানা রকম মানবিকঅমানবিক,ধান্দাবাজীসহ প্রমূখ মহামান্যরা তদবির নিয়ে আসে আত্মীয়অনাত্মীয় সকলেই। পাশে থাকা সহকর্মীটি  বিষয়ে সিদ্ধহস্ত বলে খুবিই বিরক্ত।আমার হুঁ  সে ভ্রু কুঁচকালো।

অতঃপরসেই দাদার বলার গল্পটি ( বিস্তারিত পরবর্তীতে), তাঁর ভাষায় শুনুন---

হ্যাঁলোম্যাসেন্জারে নক করেছিলাম আমি।

হুম-তার এমন উত্তরের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কথোপকথন , কালক্রমে একটি সম্পর্কের দিকে এগোতে শুরু করল এবং কারণ কিংবা অকারণে আমাদের কথা হওয়ার পাশাপাশি দেখা করতাম আমরা। শুরুটা তিন বছর আগের কথা বলে গণিতের স্বাভাবিক নিয়মে২০১৭ সালেই হবে। মাস ঠিক মনে নেই। তবে এটা মনে আছে – দাপ্তরিক কাজে  দেশের কোন বঙ্গের জলে –জঙ্গলে গিয়েছিলাম আরভাসমান নৌকায় আমাদের সূচনা হওয়া সম্পর্কটি কালক্রমে দৃঢ় হতে শুরু করেছিলযার সূচনা ঘটেছিল হাইহ্যাঁলোর মাধ্যমে 

এরপরসময়ের আবর্তনে দীর্ঘপথ পরিক্রমায় বন্ধুর পথ অতিক্রম করা। হাত ধরার চাইতে ছাড়তে হয়েছে বেশী , আর এবার ছাড়তেহলো একেবারেই। না ছাড়লে হয়তো  গল্পের সৃষ্টিই হতো না।

নরম – গরম বাক্যালাপে একটু একটু করে গভীর হওয়া সম্পর্কটি উষ্ণতা পেয়েছিল। না ; বিছানা গরম করা হয়নি। কারণসে চায়নি আর আরো পরে উদঘাটিত হলো যে সে গরম করছিল আর একজনের শিতল বিছানা। আমিও জোর করিনিধর্ষণের সঙ্গায় পড়বেবলে। আমি চেয়েছিলাম পারস্পরিক সমঝোতায় উত্তপ্ত হবে বিছানা। যার ফলে , বদ্ধ ঘরে হোটেল ভাড়ার সাথে যোগ হয়েছে টিস্যুখরচের হিসাব। সরল অংকের হিসাবে অর্থের আর সময়ের বিনিয়োগে সুদ আর পাওয়া যায়নি। তবু বিনিয়োগ করে যাচ্ছিলাম-জনকল্যাণের স্বার্থে। সুদের কথা যে মনে আসেনি তা নয়। বরং তিন বছর পর -২০২০  যে ভিশনের কথা তুমি বলে ছিলেশুরুতেইআমার মনে পাকাপোক্ত হলো এটা যেতুমি কেবলইতোমার প্রয়োজনেই আমি। কখনো অর্থেকখনো স্বার্থে আর প্রতিনিয়তই দরকারেএটা কিংবা ওটা। অথচ তুমি বহু আগ হতে অন্য কারোর শিতল বিছানা গরম করছো  মনে পড়ে যাচ্ছে – কেনা কাটা , সিনেমা দেখাটুকি টাকি সবই বিল আমার হাতে  ঠিক যেন সমানুপাতিক হারে আমার পকেট যত ঠান্ডা হতো অন্যের বিছানা ততোগরম হতো  আমার অর্থের দিকে তোমার যতো নজর ছিল , ততটাই অবহেলা করতে আমার ইচ্ছা আর ভালো লাগার বিষয়গুলোর প্রতি। আমার প্রতি তোমার অবহেলা আর গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে আজ  লেখার জন্ম বলে , আমিও এখন তোমার প্রতিও কৃতজ্ঞঅনেকখানি।

 মার্কেট হতে  মার্কেট, তোমার পছন্দের জিনিশ কেনা আর আমার ক্রেডিট কার্ডের লিমিট ক্রমশঃ কমে আসা আমাকে তবুওভাবিত করেনি। শুধুই কি তাই অফিস  বাহিরে কিংবা বিদেশ গেলে - তোমার ফরমায়েশ মতো কেনা-কাটা করা। পছন্দ – অপছন্দেরধান্দায় আমার বিপর্যস্ত অবস্থা ! এমন সময় আমার ফোন বেজে উঠল – ধ্যাত্তেরি কি ভাবছিভুলেই গিয়েছিলাম যে প্রয়োজন নেইবলে ফেসবুক সহ সকল সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোমাকে ব্লক করলেও ফোন বুকে তোমার নম্বরটি ব্লক করা হয়নি। কিছুক্ষণ পর তা হয়তো হবে। ফোনটি কেটে দিয়ে আবার ভাবনার জগতে ডুবতে গিয়ে মনে পড়ে গেলো–”তোমার বন্ধু কিংবা সহকর্মীদের কথা-তারা আমার সামনে দৃঢ়তার সাথে উচ্চারণ করতো-তুমি বরবরই তোমার স্বার্থের পক্ষেগোপনে গোপনে লিয়াজোঁ রক্ষা করো সবার সাথে। ” তারা জানতো না যে তুমি অতি দক্ষতার সাথে লিয়াজোঁ রক্ষা করো আমারও স্বাথে। তারা এও বলে যেযা শুনে আমি চমকালামযদিও তুমি তা অস্বীকার করেছো বরাবরই আমার সাথে। আমাদের অভিসারে এমন হয়েছে তার ফোন তুমি পেয়েছো আর আমাকে মিথ্যে বলেছো যেএটা বরাবরই তার পক্ষ হতে এক তরফাতোমার গুছিয়ে বলা মিথ্যায় আমি বরাবরই বিশ্বস্ত শ্রোতা। যাহোক,তারা বলেছিল যে কলেজ জীবনে হতেই তোমার জীবনে তার অনুপ্রবেশ এবং শেষ পর্যন্ত তুমি তাকেই বিয়ে করে প্রমাণ দিয়েছো-তুমি ভালো  দক্ষ খেলোয়াড়। জীবনযুদ্ধে আমি বরাবরই কাঁচা জীবনের অংক মিলাতে।নইলে স্কুল,কলেজ  বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে যার গণিতে,পরিসংখ্যানে এমনকি কম্পিউটার  টপ স্কোরার  সেই আমার এটি বুঝতে এতো সময় লাগে যে নববর্ষভালোবাসা দিবসেহ্যাপি নিউ ইয়্যার তুমি বরাবরই গিফট নাও যা তোমার অত্যন্ত প্রিয়।কিন্তু তুমি এক টাকা খরচ করে আমাকে এমএসএস করে উইশ করার সৌজন্যটুকুও দেখাওনি। বাদ দিলাম  সব। আমার জন্মদিনে,তিন বছরে উইশটুকু কি করেছোমনে পড়ে ? না এমনটি হয়নি।কারণ নেয়া তোমার যত প্রিয় দেয়া তোমার ততটাই অপ্রিয়।

এখন আমি আর তার ফোন ধরিনা অথবা সে আমারে পায়না।কারণে কিংবা অকারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নক করিনা বা করতে হয়না।এভাবেই আমি একটি অসম্পূর্ণ সম্পর্ককে সম্পূর্ণতা দিলাম!  

(রচনাকাল ২৭.০১.২০১৯ খ্রি:

(কৈফিয়তঃ এটি কাল্পনিক রচনা তবে কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে তা কাকতালীয় মাত্র)।